শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৮ অপরাহ্ন
শফিকুল ইসলাম রুম্মন, মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। আজ ৬ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গল হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনা, রাজাকার ও আলবদরদের হটিয়ে শ্রীমঙ্গলকে মুক্ত করেন।
দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আয়োজনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
শোভাযাত্রায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাব, শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামীলীগ, শ্রীমঙ্গল থানা প্রশাসন, কালীঘাট ইউনিয়ন পরিষদ ও সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ-৭১ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশগ্রহণ করে।
সকালে শহরের পুরান বাজার এলাকার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ভাড়াউড়া বধ্যভুমিতে পুস্পস্তবক অর্পণ ও শেষে আলোচনার মাধ্যমে শেষ হয়।
শোভাযাত্রা শেষে স্বাধীনতার বিজয়স্তম্ভে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রনধীর কুমার দেব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব, সাধারণ সম্পাদক শহীদ হোসেন ইকবাল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান, ওসি আব্দুস ছালেক, প্রাক্তন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কুমোদ রঞ্জন দেব, মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেমন হোসেন ছমরু, প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যান পরাগ বারই, কালীঘাট ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান প্রাণেশ গোয়ালা, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়, মুক্তিযুদ্ধা আবু শহীদ আব্দুল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা এম এ মান্নান, উপজেলা অওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এনাম হোসেন চৌধুরী মামুন, আখরাম খাঁন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিকুল চক্রবর্তী প্রমুখ।
পরে বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন সাধুবাবার সমাধীস্থল বধ্যভূমিতে শহীদদের স্মরনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন মুক্তিযোদ্ধারা।
যথাযোগ্য মার্যদায় দিবসটি পালনের লক্ষে শ্রীমঙ্গলে বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা চত্ত¡রে মোমবাতি প্রজ্বলন, পথসভা ও দেশাত্ববোধক গান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘উদ্দিপ্ত তারুন্য’র আয়োজনে ‘জাগরণের গান’ মুক্তযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও শিশুদের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়েছে।